শত সামলোচনার পরও মিরপুরের পিচের কোন পরিবর্তন হয়নি!
শুধুমাত্র মিরপুরের পিচের বিহ্যাভিয়ার একদম সচ্চোখে দেখার জন্য গতকাল মাঠে গিয়েছিলাম। গিয়ে যা দেখলাম একেবারেই হতাশ। মাথার উপর এমনিতেই আইসিসির ডিমেরিট পয়েন্ট ঝুলছে- সামনে টি-২০ বিশ্বকাপও।
তারপরও এরকম পিচের কোন ব্যাখ্যা নাই। ব্যাখ্যা নেই এক যুগ ধরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের চীফ কিউরেটর হিসেবে কাটিয়ে দেয়া গামিনী ডি সিলাভার সপদে বহাল থাকারও! গত ৫ বছরে আন্তর্জাতিক এবং বিপিএল টি২০ তে মিরপুরের গড় রান ১২৫-১৩০ যেটা আন্তর্জাতিক স্টন্ডার্ডের চেয়েও ৫০ রান কম! এরপরও বোধদয় হচ্ছে না বিসিবির দায়িত্বশীল লোকদের।
ক্রীড়া সাংবাদিক সহকর্মী ভাইদের কাছে জানতে পারলাম গেল টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর মিরপুরের পিচের মাটি বদলে ফেলার জন্য মোটা অংকের বাজেট হয়। অংকটা ৮ কোটির আশপাশে। মাটি আনার কথা ছিলো অস্ট্রেলিয়া থেকে। কিন্তু সেখানেও নাকি দুর্নীতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সেই মাটির সাথে নাকি সাভার থেকে আনা মাটিও মেশানো হয়েছে। দেশের সার্থেই মিরপুরের পিচের সয়েল টেস্টের দাবি জানাই। আর মিরপুর সিন্ডিকেট তো ভাঙবে না মানে শত ব্যর্থতার পরও গামিনির চাকরি যাবে না। আপাতত মিরপুর পিচের সয়েল টেস্টের সাথে সাথে গামিনীকে বহাল তবিয়তে রাখার জন্য যারা কাজ করে যাচ্ছেন একটা তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে খুঁজে বের করা হোক। না হলে পরিস্থিতি কখনই পাল্টাবে না। দিন শেষে দেশের সর্বনাশকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। মিরপুর পিচের সয়েল টেস্ট করা হোক। গামিনীকেও সড়ানো হোক।