৪৭ বছরের অধরা স্বপ্ন কি পূরণ করতে পারবে টিম বাংলাদেশ❗
প্রথমেই পয়েন্ট টেবিলের দিকে আলোকপাত করা যাক। আপাত দৃষ্টিতে বাংলাদেশ অবস্থান সবচেয়ে খারাপ মনে হলেও বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন কথা বলে। আমাদের আগামী ম্যাচ প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে এবং সেটা ঘরের মাঠেই। সে ম্যাচে যদি আমরা কোনোভাবে জিততে পারি তাহলে এক লাফে আমরা উঠে যাব পয়েন্ট টেবিলের ২ নাম্বারে। যদি না লেবানন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো অঘটন না ঘটায়। মোট কথা পয়েন্ট টেবিলে শেষ পর্যন্ত ২য় অবস্থানে থাকতে পারলেই বাংলাদেশ সরাসরি কোয়ালিফাই করবে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপে। যে আসরে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল ১৯৮০ সালে।
এবার আসি হামজা চৌধুরী প্রসংগে। হামজাকে নিয়ে অনেকের অনেকরকম মতামত থাকতে পারে, পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ। তবে সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে এখন হামজাকে আমাদের দরকার, দরকার মানে অত্যধিক দরকার। লেস্টারে হামজার যে ক্যারিয়ার তাতে সে যদি কখনো ইংল্যান্ড জাতীয় দলে সুযোগ নাও পায় তাতেও হয়ত তার অর্জনে খুব বেশি ভাটা পড়বে না। তাই আমাদের স্বার্থেই তাকে দরকার। প্রয়োজনে বাফুফের একটা বিশেষ টিম হামজার সাথে সশরীরে সাক্ষাত করে আসুক, তাকে কনভিন্স করার শেষ চেষ্টাটা করুক। ফুটবলের যে জোয়ারটা বর্তমানে এসেছে হামজার মত বিশ্বমানের প্লেয়ারের অন্তর্ভুক্তি তার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিবে।
তারপর বলি সামিত সোমের কথা। সামিত বাংলাদেশের ব্যাপারে অনেকটাই পজিটিভ এখন পর্যন্ত। এখন শুধু প্রয়োজন বাফুফের যথাযথ হস্তক্ষেপ। সামিতের মত একজন সলিড মিডফিল্ডারের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ ফুটবল এর দারুণভাবে আশীর্বাদস্মরূপ হবে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সবশেষ বলি ম্যাক্স রহমানের কথা। ম্যাক্স রহমান ইতোমধ্যেই সুইডেন ছাড়তে প্রস্তুত, শুধুমাত্র একটা ডাকের অপেক্ষা। ম্যাক্স রহমানের সুইডিশ টপ টায়ার ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। লেফট ব্যাক পজিশানটাতে ঈসা ফয়সাল, আলমগীর মোল্লাদের সাথে ম্যাক্স রহমানের সংযোজন দলের ডেপথকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
জামাল-তারিকরা বাংলাদেশের ফুটবলে যেভাবে একটা নতুন জাগরণ এনেচ্ছেন, হামজা-সামিত-ম্যাক্সদের মত ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তি সেই জাগরণকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটা হয়ত কল্পনা করা কঠিন হবে।
প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে ম্যাচ আগামী বছর মার্চে। হাতে এখনও পাক্কা ৪ মাস সময়। ৪ মাসে অনেক কিছুই করা সম্ভব। আশা করি এবার অন্তত Bangladesh Football Federation নিজেদের ভালোটা বুঝে নিতে শিখবে।