ঢাকাশুক্রবার , ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইতিহাস ঐতিয্য
  3. ইসলাম
  4. কর্পোরেট
  5. খেলার মাঠে
  6. জাতীয়
  7. জীবনযাপন
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নারী কন্ঠ
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. ফার্মাসিস্ট কর্নার
  13. ফিচার
  14. ফ্যাশন
  15. বিনোদন

খেলাধুলা বিষয়টা কি তবে বাংলাদেশের জন্য না

ডেস্ক নিউজ
নভেম্বর ১৭, ২০২৩ ৯:০০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল ম্যাচ দেখে একটা কথা মাথায় ঘুরছে, “খেলাধুলা বিষয়টা কি তবে বাংলাদেশের জন্য না?”! তথ্য-উপাত্ত ও কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট দিয়ে বলার চেষ্টা করবো, একটু লম্বা হতে পারে পোস্টটা, তবে বেশি লম্বা করবো না, আপনাদের ধৈর্য থাকে এমন ভাবেই লেখবো।

১৭ কোটির বাংলাদেশে খেলাপ্রিয় মানুষ না হলেও ৩০ ভাগ (অনুমান করে কমিয়ে বললাম)। দেশের অলিগলিতে যান, দেখবেন বাচ্চারা ক্রিকেট খেলছে, স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছে। ফুটবল সম্পর্কে জানা-শোনা আর ৫-১০ টা ফুটবল প্লেয়িং ন্যাশনের চেয়ে বেশি৷ মাঝে মাঝে মনে হয় ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডস এর উত্থান পতন নিয়ে ডাচ নাগরিকদের থেকে বাংলাদেশীরা বেশি জানে।
অবাক করা বিষয়, সেই বাংলাদেশের নিজেদের ঘরে খেলা নিয়ে দলগতভাবে কোনো শ্রেষ্ঠত্বের তকমা নেই।

ধরে নেই, বাংলাদেশের পপুলার স্পোর্টস ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল আর জাতীয় খেলা কাবাডি৷ একে একে শুরু করি…

📍 ক্রিকেট: ইংরেজদের শুরু করা এই খেলায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে টুকটাক খেলার চল হয়। ১৯৮৬ তে আন্তর্জাতিক যাত্রা শুরু করে, দু:খজনকভাবে ৩৭ বছরে পুরুষ দলের পাশে একটা আন্তর্জাতিক ট্রফি নাই। (নারীদের ১ এশিয়া কাপ, যুবাদের ১ বিশ্বকাপ)। দেশটার র‍্যাংকিং থাকে স্বভাবত সাত বা তার নিচে। সপ্তম র‍্যাংকিং শুনতে ভালো লাগলেও, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দলই ১২ টা।

📍 ফুটবল: পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, খেলেও বিশ্বের সবকটি দেশ। এখানে বাংলাদেশের র‍্যাংকিং ১৮৩! নব্বই দশনে ১০০ এর আশেপাশে থাকলেও বিশ্ব দরবারে জাহির করার মত এটা যথেষ্ট কখনোই ছিলো না৷ আজকে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের ফুটবল খেলা দেখে দুইদলের শক্তিমত্তার পার্থক্যও স্পষ্ট, স্পষ্ট শারীরিক গঠনের পার্থক্যটাও।

📍 বাস্কেটবল-ভলিবল: এই খেলাগুলোতেও বাংলাদেশের র‍্যাংকিং ৭০ এর বাইরে! (ভলিবলে ৭৩, বাস্কেটবলে ৯২)! এই দুইটা খেলায় শারীরিক গঠন অনেক বেশি ম্যাটার করে। ক্রিকেট-ফুটবলেই যেখানে শারীরিক গঠন মাঝেমাঝে ডিফারেন্সের কারণ হয়, সেখানে ভলিবল বাস্কেটবল তো দূরের কথা!

📍 অলিম্পিক: অলিম্পিকে বাংলাদেশ পদক জেতা তো দূরের কথা, অংশগ্রহণের সুযোগই পায় কালেভদ্রে। অলিম্পিক পদক না জেতা জনসংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম দেশটার নাম বাংলাদেশ!
১৯৮৪ সলের একমাত্র এথলেট সাইদুর রহমান ডন থেকে শুরু করে প্রতি অলিম্পিকে বাংলাদেশের গুটিকয়েক এথলেট অংশগ্রহণ করে (সর্বোচ্চ অংশগ্রহণ ২০১৬ অলিম্পিকে ৭ জন, গল্ফার সিদ্দিকুর রহমান সহ)। সিদ্দিকুর রহমানই প্রথম বাংলাদেশী যিনি ওয়াইল্ড কার্ড, ত্রিপক্ষীয় কমিশন এন্ট্রি বা সর্বজনীন স্থানের উপর নির্ভর না করে নিজের অধিকারে যেকোনো অলিম্পিক গেমসের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন। শেষ করেন ৫৮তম হয়ে।

📍 জাতীয় খেলা কাবাডি: এখানে বাংলাদেশের অবস্থানটা একটু ভদ্রস্ত বলা যায়। যদিও এখানে কখনো বিশ্বকাপ জেতে নি (সর্বোচ্চ স্থান ৩য়)। বর্তমান র‍্যাংকিং অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ৫ম!

অনেক খেলাই আছে আরো, সেগুলো বলে আর পোস্ট বড় করবো না। স্পোর্টসে বাংলাদেশের অবস্থার এই দুরদশা দেখে ক্রীড়াপ্রেমীদের খারাপ লাগে বটে। কিন্তু কি-ই বা করার? তার আগে একটা কথা, স্পোর্টস আর গেমস কিন্তু এক না! তবু আমি অলিম্পিকের টপিকটা আনলাম এটা বুঝাতে যে গেমসেও আমাদের অবস্থা খুব ভালো তা না (তাছাড়া ক্রিকেটও অলিম্পিকে আসছে, তাই অলিম্পিকের তথ্যটাও দিলাম)।

এখন আসলে সমস্যাটা কোথায়? ১৭ কোটির বাংলাদেশ, খেলাধুলা ফলো করে ৫-৬ কোটি (আরো বেশি কিন্তু কম ধরলাম)। তরুণ দের মধ্যে খেলাধুলা করে না হলেও ১ কোটি, ভালো মানের এথলেট আসে না কেনো? অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের খেলা দেখলাম, অস্ট্রেলিয়ার জনগোষ্ঠীই ২.৫ কোটি, সেখান থেকে এত প্লেয়ার আসে। অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড মেডাল ৫৬২ টা!
বাংলাদেশের ১৭ কোটির ১ কোটি খেলে ধরে হিসাব করেছি, নিউজিল্যান্ডের তো জনগণই ৫০ লাখের আশেপাশে। অথচ কি সুন্দর ফিটনেস নিয়ে, ক্রিকেটাররা খেকে যাচ্ছেন, রাগবীতেও তাদের আধিপত্য আছে, খেলেছে ফুটবল বিশ্বকাপও!

ফিটনেসের একটা তারতম্য চলে আসে, তবে ক্রিকেটার শেখ মাহেদীর মত সেটাকে আমি “গ্লোরিফাই” করে নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে নারাজ। আফগানিস্তানের এই বিশ্বকাপ জার্নি চোখে আঙ্গুল দিয়ে অনেক কিছু দেখিয়েছে আমাদের ক্রিকেটারদের। শারীরিক গঠন ভালো হওয়া যে লাগে না তা বলছিনা, এজন্যই উদাহরণে ভলি-বাস্কেট এনেছি। কিন্তু প্রায় সব খেলায় আমাদের প্লেয়ারদের গেইম-সেন্সেরও বড্ড অভাব!

এই খেলাধুলার ব্যর্থতা কি তবে জাতিগতই? যে দেশ মেসি-রোনালদো নিয়ে মাতামাতির জন্য পুরো বিশ্ব দরবারের নাম উজ্জ্বল হওয়ার উপক্রম, সেই দেশে বিশ্বমানের ফুটবলারই নাই। ক্রিকেটে যেখানে পাশের দেশ ভারতের ভিরাট কোহলি ৫০ টা সেঞ্চুরি করে, সেখানে আমাদের পঞ্চপান্ডবের চার ব্যাটারের মোট ওয়ানডে শতক ৩৬ টা। ভিরাটের সাথে রোহিতের সেঞ্চুরি যোগ করলে সেঞ্চুরি সংখ্যাটা হয় ৮১, সেখানে পুরো বাংলাদেশের মোট ওয়ানডে শতক ৬৭ টা! প্রতিদেশী দেশ ভারতের প্লেয়াররা কি জন্মগতভাবে এত ফিজিকাল এবিলিটি নিয়ে জন্মিয়েছে? আমার ধারণা অবশ্যই না। বরং তারা নিজেদের এরকম বানিয়েছে, আর আমাদের ক্রিকেটাররা অল্পতেই তুষ্ট থাকে হয়তো!
ক্রীড়াপ্রেমির দেশের জনপ্রিয় এই দুই খেলার (ফুটবল-ক্রিকেট) এই দুরবস্থা দেখলে নিজের জন্যই মায়া হয়৷ অন্যসব খেলাতেও বিশ্বমানের তুলনায় বাংলাদেশের খেলা একটু ডাউনই।

খেলাধুলা কি তবে আসলেই বাংলাদেশের জন্য না? সমস্যাটা আসলে কোথায়?….

#বাংলাদেশফুটবল || #বাংলাদেশক্রিকেট || #অলিম্পিক || #ক্রিকেট || #ফুটবল

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো । বিডিসারাদিন২৪'এ প্রকাশিত নারীকন্ঠ,মতামত লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত বিডিসারাদিন২৪ 'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় বিডিসারাদিন২৪ কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। বিডিসারাদিন২৪ 'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।