ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ক্রিকেটার বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই কে ফোন করে ইউনূসের কাছে! শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে যা বললেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তের কারণে মাথায় হাত ভারতের ১০ হাজার আওয়ামী কর্মী মাঠে নামলেই তো সরকার পরে যাবে সরকার উৎখাতে চক্রান্ত! কারাগারে বসেই চলছে নানা তৎপরতা আওয়ামী লীগে বিভক্তি, চ্যালেঞ্জের মুখে হাসিনা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা কানাডার নাগরিক হয়েও বাংলাদেশে সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত পুতুল দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা চেয়ারম্যান-মেয়র হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি, হবে না সরাসরি ভোট চাল-মুরগির দাম চড়া, অন্য সব আগের মতো দেশের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম কিভাবে বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন? পাল্টে যাচ্ছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের পোশাক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল? চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হবে নতুন বাংলাদেশ! সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক : প্রেসসচিব

হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / 149
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জাতীয় ফুটবল দল বা ক্লাব দলের কোচ হিসেবে কোনো বিদেশি এয়ারপোর্টে নামলেই খবর হয়ে যায় – এক জাদুকর এসেছেন, যার স্পর্শে বদলে যাবে দল।

সেই কোচ হোটেলে ব্যাগ–পত্র রেখে কোনো মতে সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারলেই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ‘আলাউদ্দিনের প্রদীপের দৈত্য’র মতো করে। ভাবখানা এমন যেন – কোচ খালি প্রদীপের গায়ে ঘষা দেবেন আর দল এমনি এমনিই জিতবে। বিদেশি কোচ বলে কথা!

অন্যদিকে বাংলাদেশি কোচ হলে আমাদের মেনে নিতেই কষ্ট হয়। আমাদের ভাবখানা এমন যে, বিদেশি না হলে সে আবার কীসের কোচ! অথচ আজ বাংলাদেশি কোচ মারুফুল হকের হাত ধরেই সাফ অঞ্চলে অজেয় থাকা শিরোপাটা জিতল বাংলাদেশ।

তাও আবার বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতলো ৪-১ গোলে। যে ফাইনাল নাম শুনলেই আগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গলা শুকিয়ে যেতো। সেই ফাইনালকে পাড়ার ম্যাচ বানিয়ে ফেললো বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বিদেশের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে একটা ফাইনাল ম্যাচে ৩–০ গোলে এগিয়ে যাওয়া। ভাবা যায়!

এখনো পুরো দেশ মেতে আছে সাফ জয়ের আনন্দে। এর একটা অংশ জুড়ে বরাদ্দ থাকা উচিত ছিল দলের কোচ মারুফুলের জন্য। কারণ কথাই তো আছে ‘ফুটবল কোচ গেম’। উদীয়মান মিরাজুল, রাহুল, আসিফদের কাছে থেকে সেরাটা বের করে আনার কৃতিত্ব হিসেবে মারুফুলকে নিয়ে সেই আলোচনাটা কি হচ্ছে! আমার দৃষ্টিতে না।

ওই যে মারুফুল তো বিদেশি নন। স্বাভাবিকভাবে বিদেশি কোচদের মতো ঘাড় ঝাঁকি দিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে কথাও বলতে পারেন না। তাঁকে নিয়ে আমাদের এতো কথা খরচ করার কী আছে! কিন্তু ফলাফল খারাপ হলেই অতীতের মতো গর্দান নেওয়া হতো তাঁর।

তাঁর গর্দানের সব বন্দোবস্ত করাই ছিল! মারুফুলের হাতে দল তুলে দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতির ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আবারও বলছি, মাত্র দুই সপ্তাহ। ভাবা যায়!

এই স্বল্প প্রস্তুতিতে রেজাল্ট ভালো হলে তো ভালোই আর রেজাল্ট খারাপ হলে কোচের দোষ। আর মারুফুল হক যেহেতু বাংলাদেশের কোচ, তাঁকে বলির পাঠা বানানো তো বাম হাতের খেল। যেখানে স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কথায় কথায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকেন দেশি কোচদের।

মাঠে নামার আগে হাতে অল্প সময়। কোচ হিসেবে এমন দলের দায়িত্ব নেওয়া, জেনে শুনে বিষ পান করার মতো। মারুফ স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বিপদ জেনেও এই অল্প সময়ের জন্য কেন দলের দায়িত্ব নিলেন ? উনার জবাবটা ছিল ,‘ কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আমার দেশ। আমি তো আর ভয়ে দেশকে অগ্রাহ্য করতে পারি না। ’

এটাই কোচ মারুফুল। হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

 

জাতীয় ফুটবল দল বা ক্লাব দলের কোচ হিসেবে কোনো বিদেশি এয়ারপোর্টে নামলেই খবর হয়ে যায় – এক জাদুকর এসেছেন, যার স্পর্শে বদলে যাবে দল।

সেই কোচ হোটেলে ব্যাগ–পত্র রেখে কোনো মতে সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারলেই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ‘আলাউদ্দিনের প্রদীপের দৈত্য’র মতো করে। ভাবখানা এমন যেন – কোচ খালি প্রদীপের গায়ে ঘষা দেবেন আর দল এমনি এমনিই জিতবে। বিদেশি কোচ বলে কথা!

অন্যদিকে বাংলাদেশি কোচ হলে আমাদের মেনে নিতেই কষ্ট হয়। আমাদের ভাবখানা এমন যে, বিদেশি না হলে সে আবার কীসের কোচ! অথচ আজ বাংলাদেশি কোচ মারুফুল হকের হাত ধরেই সাফ অঞ্চলে অজেয় থাকা শিরোপাটা জিতল বাংলাদেশ।

তাও আবার বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতলো ৪-১ গোলে। যে ফাইনাল নাম শুনলেই আগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গলা শুকিয়ে যেতো। সেই ফাইনালকে পাড়ার ম্যাচ বানিয়ে ফেললো বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বিদেশের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে একটা ফাইনাল ম্যাচে ৩–০ গোলে এগিয়ে যাওয়া। ভাবা যায়!

এখনো পুরো দেশ মেতে আছে সাফ জয়ের আনন্দে। এর একটা অংশ জুড়ে বরাদ্দ থাকা উচিত ছিল দলের কোচ মারুফুলের জন্য। কারণ কথাই তো আছে ‘ফুটবল কোচ গেম’। উদীয়মান মিরাজুল, রাহুল, আসিফদের কাছে থেকে সেরাটা বের করে আনার কৃতিত্ব হিসেবে মারুফুলকে নিয়ে সেই আলোচনাটা কি হচ্ছে! আমার দৃষ্টিতে না।

ওই যে মারুফুল তো বিদেশি নন। স্বাভাবিকভাবে বিদেশি কোচদের মতো ঘাড় ঝাঁকি দিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে কথাও বলতে পারেন না। তাঁকে নিয়ে আমাদের এতো কথা খরচ করার কী আছে! কিন্তু ফলাফল খারাপ হলেই অতীতের মতো গর্দান নেওয়া হতো তাঁর।

তাঁর গর্দানের সব বন্দোবস্ত করাই ছিল! মারুফুলের হাতে দল তুলে দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতির ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আবারও বলছি, মাত্র দুই সপ্তাহ। ভাবা যায়!

এই স্বল্প প্রস্তুতিতে রেজাল্ট ভালো হলে তো ভালোই আর রেজাল্ট খারাপ হলে কোচের দোষ। আর মারুফুল হক যেহেতু বাংলাদেশের কোচ, তাঁকে বলির পাঠা বানানো তো বাম হাতের খেল। যেখানে স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কথায় কথায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকেন দেশি কোচদের।

মাঠে নামার আগে হাতে অল্প সময়। কোচ হিসেবে এমন দলের দায়িত্ব নেওয়া, জেনে শুনে বিষ পান করার মতো। মারুফ স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বিপদ জেনেও এই অল্প সময়ের জন্য কেন দলের দায়িত্ব নিলেন ? উনার জবাবটা ছিল ,‘ কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আমার দেশ। আমি তো আর ভয়ে দেশকে অগ্রাহ্য করতে পারি না। ’

এটাই কোচ মারুফুল। হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক