ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে সভাপতি করে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন আপা আপা বলা তানভীর নিজেই আ.লীগের হাতে নির্যাতিত, আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভল্টের টাকায় অবৈধ বাণিজ্য বিডিআর বিদ্রোহের বিচার পুনরায় করা সম্ভব? সংলাপ, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে যে প্রক্রিয়ায় এগোতে চায় সরকার এবার সরকারের কাছে ৬৩ কোটি ডলার সুদ চাইল রাশিয়া এফবিসিসিআই সভাপতির পদত‍্যাগ, প্রশাসক নিয়োগ তারল্য বাড়াতে ‘বিশেষ ধার’ আগামী সপ্তাহে ৭ হাজার কোটিতে নির্মিত তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ গার্মেন্টসে থামছে না অস্থিরতা চাকরি গেল আরো দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেলের ওষুধের বাজারে উত্তাপ ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন সড়ক পরিবহনে আসছে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ গরুর দিয়ে পাট নিতে চায় পাকিস্তানি সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ, কমিশনের দায়িত্বে শাহদীন মালিক ছয় বিশিষ্ট নাগরিককের নেতৃত্বে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার শিগগিরই মেট্রোরেলের বন্ধ থাকা স্টেশন চালু হচ্ছে বিদ্যুতের পাওনা চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি

হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৫০৩৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জাতীয় ফুটবল দল বা ক্লাব দলের কোচ হিসেবে কোনো বিদেশি এয়ারপোর্টে নামলেই খবর হয়ে যায় – এক জাদুকর এসেছেন, যার স্পর্শে বদলে যাবে দল।

সেই কোচ হোটেলে ব্যাগ–পত্র রেখে কোনো মতে সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারলেই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ‘আলাউদ্দিনের প্রদীপের দৈত্য’র মতো করে। ভাবখানা এমন যেন – কোচ খালি প্রদীপের গায়ে ঘষা দেবেন আর দল এমনি এমনিই জিতবে। বিদেশি কোচ বলে কথা!

অন্যদিকে বাংলাদেশি কোচ হলে আমাদের মেনে নিতেই কষ্ট হয়। আমাদের ভাবখানা এমন যে, বিদেশি না হলে সে আবার কীসের কোচ! অথচ আজ বাংলাদেশি কোচ মারুফুল হকের হাত ধরেই সাফ অঞ্চলে অজেয় থাকা শিরোপাটা জিতল বাংলাদেশ।

তাও আবার বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতলো ৪-১ গোলে। যে ফাইনাল নাম শুনলেই আগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গলা শুকিয়ে যেতো। সেই ফাইনালকে পাড়ার ম্যাচ বানিয়ে ফেললো বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বিদেশের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে একটা ফাইনাল ম্যাচে ৩–০ গোলে এগিয়ে যাওয়া। ভাবা যায়!

এখনো পুরো দেশ মেতে আছে সাফ জয়ের আনন্দে। এর একটা অংশ জুড়ে বরাদ্দ থাকা উচিত ছিল দলের কোচ মারুফুলের জন্য। কারণ কথাই তো আছে ‘ফুটবল কোচ গেম’। উদীয়মান মিরাজুল, রাহুল, আসিফদের কাছে থেকে সেরাটা বের করে আনার কৃতিত্ব হিসেবে মারুফুলকে নিয়ে সেই আলোচনাটা কি হচ্ছে! আমার দৃষ্টিতে না।

ওই যে মারুফুল তো বিদেশি নন। স্বাভাবিকভাবে বিদেশি কোচদের মতো ঘাড় ঝাঁকি দিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে কথাও বলতে পারেন না। তাঁকে নিয়ে আমাদের এতো কথা খরচ করার কী আছে! কিন্তু ফলাফল খারাপ হলেই অতীতের মতো গর্দান নেওয়া হতো তাঁর।

তাঁর গর্দানের সব বন্দোবস্ত করাই ছিল! মারুফুলের হাতে দল তুলে দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতির ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আবারও বলছি, মাত্র দুই সপ্তাহ। ভাবা যায়!

এই স্বল্প প্রস্তুতিতে রেজাল্ট ভালো হলে তো ভালোই আর রেজাল্ট খারাপ হলে কোচের দোষ। আর মারুফুল হক যেহেতু বাংলাদেশের কোচ, তাঁকে বলির পাঠা বানানো তো বাম হাতের খেল। যেখানে স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কথায় কথায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকেন দেশি কোচদের।

মাঠে নামার আগে হাতে অল্প সময়। কোচ হিসেবে এমন দলের দায়িত্ব নেওয়া, জেনে শুনে বিষ পান করার মতো। মারুফ স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বিপদ জেনেও এই অল্প সময়ের জন্য কেন দলের দায়িত্ব নিলেন ? উনার জবাবটা ছিল ,‘ কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আমার দেশ। আমি তো আর ভয়ে দেশকে অগ্রাহ্য করতে পারি না। ’

এটাই কোচ মারুফুল। হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক

আপডেট সময় : ১১:৩২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

 

জাতীয় ফুটবল দল বা ক্লাব দলের কোচ হিসেবে কোনো বিদেশি এয়ারপোর্টে নামলেই খবর হয়ে যায় – এক জাদুকর এসেছেন, যার স্পর্শে বদলে যাবে দল।

সেই কোচ হোটেলে ব্যাগ–পত্র রেখে কোনো মতে সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারলেই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ‘আলাউদ্দিনের প্রদীপের দৈত্য’র মতো করে। ভাবখানা এমন যেন – কোচ খালি প্রদীপের গায়ে ঘষা দেবেন আর দল এমনি এমনিই জিতবে। বিদেশি কোচ বলে কথা!

অন্যদিকে বাংলাদেশি কোচ হলে আমাদের মেনে নিতেই কষ্ট হয়। আমাদের ভাবখানা এমন যে, বিদেশি না হলে সে আবার কীসের কোচ! অথচ আজ বাংলাদেশি কোচ মারুফুল হকের হাত ধরেই সাফ অঞ্চলে অজেয় থাকা শিরোপাটা জিতল বাংলাদেশ।

তাও আবার বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতলো ৪-১ গোলে। যে ফাইনাল নাম শুনলেই আগে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গলা শুকিয়ে যেতো। সেই ফাইনালকে পাড়ার ম্যাচ বানিয়ে ফেললো বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বিদেশের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে একটা ফাইনাল ম্যাচে ৩–০ গোলে এগিয়ে যাওয়া। ভাবা যায়!

এখনো পুরো দেশ মেতে আছে সাফ জয়ের আনন্দে। এর একটা অংশ জুড়ে বরাদ্দ থাকা উচিত ছিল দলের কোচ মারুফুলের জন্য। কারণ কথাই তো আছে ‘ফুটবল কোচ গেম’। উদীয়মান মিরাজুল, রাহুল, আসিফদের কাছে থেকে সেরাটা বের করে আনার কৃতিত্ব হিসেবে মারুফুলকে নিয়ে সেই আলোচনাটা কি হচ্ছে! আমার দৃষ্টিতে না।

ওই যে মারুফুল তো বিদেশি নন। স্বাভাবিকভাবে বিদেশি কোচদের মতো ঘাড় ঝাঁকি দিয়ে ঠোঁট উল্টিয়ে কথাও বলতে পারেন না। তাঁকে নিয়ে আমাদের এতো কথা খরচ করার কী আছে! কিন্তু ফলাফল খারাপ হলেই অতীতের মতো গর্দান নেওয়া হতো তাঁর।

তাঁর গর্দানের সব বন্দোবস্ত করাই ছিল! মারুফুলের হাতে দল তুলে দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতির ব্যবস্থা করে দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আবারও বলছি, মাত্র দুই সপ্তাহ। ভাবা যায়!

এই স্বল্প প্রস্তুতিতে রেজাল্ট ভালো হলে তো ভালোই আর রেজাল্ট খারাপ হলে কোচের দোষ। আর মারুফুল হক যেহেতু বাংলাদেশের কোচ, তাঁকে বলির পাঠা বানানো তো বাম হাতের খেল। যেখানে স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কথায় কথায় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকেন দেশি কোচদের।

মাঠে নামার আগে হাতে অল্প সময়। কোচ হিসেবে এমন দলের দায়িত্ব নেওয়া, জেনে শুনে বিষ পান করার মতো। মারুফ স্যারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বিপদ জেনেও এই অল্প সময়ের জন্য কেন দলের দায়িত্ব নিলেন ? উনার জবাবটা ছিল ,‘ কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আমার দেশ। আমি তো আর ভয়ে দেশকে অগ্রাহ্য করতে পারি না। ’

এটাই কোচ মারুফুল। হ্যাটস অফ মিস্টার মারুফুল হক