সাভারের আশুলিয়ায় ধারের টাকা চাইতে গেলে মধ্যেরাতে এক নারীর পরিবারের বাসায় হামলা ও নারীর শ্লীলতাহানি ও ভাঙচুর,লুটপাটের ঘটনা ঘটে এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।রআগে, শুক্রবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে আশুলিয়া থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী নিপা আক্তার।
রবিবার (১২ জুন) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।
মামলার আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার থানা ধীন ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লা,নাঈম মন্ডল, তাপস ও সালাউদ্দিন সহ অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা চাওয়া সংক্রান্ত জেরে গত (১০ জুন) গভীর রাতে সোহেল মোল্লা ও তার দলবলসহ, আরও কয়েকজন মিলে নিপা আক্তারের আশুলিয়া থানা ইয়ারপুর ইউনিয়নের দিয়াখালী এলাকার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সোহেল মোল্লার ও তার লোক জন্য । পরে ভুক্তভোগীর স্বামী চান মিয়াকে মারধর করে ও নিপা আক্তারের কাপড় চোপড় টেনে হেঁচড়ে শ্লীলতাহানি করে। এছাড়া ঘরে থাকা {৩} লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মামলার বাদি নিপা আক্তার বলেন, সোহেল মোল্লা তিন বছর আগে বালুর ব্যবসার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ধার নেয়। তিন-চার মাস পরেই সেই টাকা পরিশোধের ডেট ছিলো। কিন্তু সোহেল টাকা না দিয়ে উল্টো নানা তালবাহানা করে আসছে। পরে ছয়টি চেক দেয় সোহেল মোল্লা৷ সেই চেকগুলো নিয়ে ব্যাংকে গেলে একাউন্টে কোনো টাকায় পাওয়া যায়নি। পরে পাওনা টাকা চাওয়ায় অনেকবার আমার স্বামীকে মারধর করেছে সোহেল মোল্লা ।
তিনি আরও বলেন, আমরা চেক নিয়ে মামলা করার পর রাত আনুমানিক ১১.৩০ দিকে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। সোহেল সহ ২০-২৫ জন পিস্তল, চাপাতি ও লোহার পাইপ নিয়ে আমার ঘরে ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা আসবাবপত্র সহ আমার স্বামীর মোটরসাইকেলটিও ভেঙ্গে ফেলে। আমার গায়ের কাপড়চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। জিআই পাইপ দিয়ে আঘাত করা হয় আমাকে।
এ বিষয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইউনুস আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা ধার দিয়েছে না কি করেছে আমি কিছুই জানি না তবে রিপন 999 লাইনে ফোন দিয়েছিল পুলিশকে পুলিশ বলেছেন মেম্বারকে জানাইছেন, পরে আমাকে ফোন দিয়েছিল চান মিয়া আমি তাকে বলেছি সকালে আমার সাথে দেখা করেন বিষয়টি দেখবো কিন্তু এরপরে আমার সাথে কোন যোগাযোগ হয় নাই।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ বলেন, ওই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের ধরতে আমি অভিযান চালাচ্ছি।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকারকে এ বিষয়ে ফোন দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ফোনটি রিসিভ করেননি।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মইনুল ইসলাম ভুঁইয়া মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকালকে শুনেছি মামলা হয়েছে মামলা হলেই যে দোষী হয়ে যায় তা তো না। যদি সততা প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কেন্দ্রের সাথে আলাপ আলোচনা করে। তবে যুবলীগে থাকা কালিন কোন যুবলীগ নেতা কোন ধরনের অপকর্ম করলে সংগঠন তার দায় নিবে না। বিশেষ করে তার ব্যক্তি স্বার্থে।
সোহেল মোল্লার বিষয়ে আমরা শুনেছি, আমাদের একটু সময় দেন আমার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে বিষয়টি নিয়ে বলবো দুশি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আহবায়ক আছে বা উপরের নেতারা আছে। সবাই একসাথে বসে কথা বলে ব্যাবস্থা নিব।