নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা সহ একদিনে নবাবগঞ্জের ১৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকা জেলার ডিসি শহীদুল ইসলাম।
ঢাকা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শহীদুল ইসলাম ঢাকার নবাবগঞ্জে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মোট ১৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দীন মনজুর কার্যালয়, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অরুণ কৃষ্ন পাল এর কার্যালয়,
নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সিরাজুল ইসলাম শেখ পিপিএম এর কার্যালয়, সরকারি দোহার-নবাবগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাস ,যন্ত্রাইল কমিউনিটি ক্লিনিক,চন্দ্রখোলা আশ্রয়ণ প্রকল্প,শিক্ষক ছাত্রদের অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ ফাইনাল খেলা সহ ১৬টি প্রোগ্রাম করেন ডিসি।
খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকার ডিসি শহীদুল ইসলাম খেলাটি উপভোগ করেন। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করার তাগিদ দেন ঢাকা জেলা প্রশাসক
সাধারণ জনগণের জীবন মান উন্নয়নে জনপ্রতিনিধিদের আরও দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ঢাকা জেলা প্রশাসক মো.শহীদুল ইসলাম।
বেলা ১১টায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আব্দুল ওয়াছেক মিলনায়তনে আয়োজিত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিবন্ধন কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা জেলা প্রশাসক বলেন,সরকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। জনগণের স্বার্থ যদি তারা না দেখে তবে তারা তাদের দায়িত্ব হারিয়ে ফেলবেন।
তাই সবার আগে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন,জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুযায়ী জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
জন্ম ও মৃত্যু সনদ এখন সব জায়গায় লাগে। কাজেই এ সব কাজ গুলো খুব ভাল ভাবে শেষ করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদ বিষয়ে দেশের প্রতিটি উপজেলার ১০টি দপ্তর ও অন্যান্য সংস্থাসহ ১৬ সদস্যের একটি টাক্সফোর্স গঠন করেছেন সরকার।
এ বিষয়ে আপনাদের ভালভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে জানতে হবে। একজন জনপ্রতিনিধি যেন গর্ব করে বছর শেষে বলতে পারেন,আপনার ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে কতজন জন্ম নিয়েছে মৃত্যুবরণ করেছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দীন মনজু।
জেলা প্রশাসক বলেন,আশা করি আপনারা খুব অল্প সময়ের মধ্যে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিবন্ধন কার্যক্রম নিশ্চিত করতে পারবেন। ঢাকা জেলার মধ্যে যেন আপনাদের উপজেলা মডেল হিসেবে গণ্য করা হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিবন্ধন রেজিষ্টার বহি ইউপি চেয়ারম্যানদের হাতে তুলে দেন।
পরে বেলা ১১টায় পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত নারী ও শিশু উন্নয়নে সচেতনতা মূলক যোগাযোগ কার্যক্রম ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো.শহীদুল ইসলাম।
এসময় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি অরুন কৃষ্ণ পাল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির মধ্যে বক্তৃতা রাখেন স্থানীয় সরকার ঢাকার উপপরিচালক মো.আবু জাফর রিপন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু।
এরপরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে করোনা পরবর্তী শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে দিকনির্দেশনা মূলক মতবিনিময় সহ দিনব্যাপী নবাবগঞ্জ উপজেলার ১৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এছাড়া উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন। বিকালে সরকারি নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন,খেলাধুলা মানুষকে খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখেন তাই খেলাধুলা করতে হবে।
বক্তৃতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার হিসেবে ট্রফি ও ম্যাডেল তুলে দেন জেলা প্রশাসক। ফাইনাল খেলায় দুইটি ইউনিয়ন অংশ গ্রহণ করেন।
এদের মধ্যে কৈলাইল ইউনিয়ন কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন শোল্লা ইউনিয়ন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন গোল না হওয়ায় ট্রাইব্রেকারের মাধ্যমে খেলাটি শেষ করা হয়।