ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ’র ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক ৯ ডিসেম্বর জাতীয় সরকারের গুঞ্জন ড: মুহাম্মদ ইউনুস ইন্ডিয়ার জায়গামত আঘাত করেছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভারত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরে বাধ্য: ড. ইউনূস মুন্নী সাহা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয় ১৩৪ কোটি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশকে আ. লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে : ভারতকে নাহিদ ইসলাম “ছাত্রদের ভূমিকা ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা” অশান্তির জন্য মহম্মদ ইউনূসকেই দায়ী করলেন শেখ হাসিনা৷ ফেরত চাওয়া হবে শেখ হাসিনাকে, মানতে বাধ্য ভারত: ড. ইউনূস আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার: শ্বেতপত্রে উন্মোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহা গ্রেপ্তার অচিরেই কুমিল্লাকে বিভাগ ঘোষণা: উপদেষ্টা আসিফ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত কেন তথ্যযুদ্ধে নেমেছে? ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল কোটি টাকার বাস ৯০ লাখে বানাবে বিআরটিসি ভয়েস অব আমেরিকার জরিপ: সংখ্যালঘুরা ‘আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে’ বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের খবর ভুয়া ধানমন্ডি লেকে হবে ‘বিদ্রোহী চত্বর’

কাদা-ছোড়াছুড়ি নয়, চলচ্চিত্রে মনোযোগ দিন

মনজুর কাদের
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২ ৬৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একে অপরকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য ও তাঁদের ফেসবুক সমর্থকদের নানান ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সর্বশেষ রূপ নিয়েছে কান্নায়। প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিকদের সামনে গত মঙ্গলবার ‘দিন দ্য ডে’ ছবির নায়িকা বর্ষা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, তবে এর আগে তিনিও অন্য ছবির পরিচালক–অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেখানে দীর্ঘদিন পর আগ্রহ নিয়ে দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহমুখী হচ্ছিলেন, তখন এ ধরনের কাদা–ছোড়াছুড়িতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, কাদা–ছোড়াছুড়ি নয়, সবার মনোযোগ থাকুক শুধুই চলচ্চিত্রে। নিজেদের মেধা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ নির্মাণ দিয়েই টিকে থাকার চেষ্টা করুক তারা।

‘পরাণ’–এর একটি দৃশ্যে মিম ও ইয়াশ রোহান

‘পরাণ’–এর একটি দৃশ্যে মিম ও ইয়াশ রোহান

দেশের চলচ্চিত্রের প্রচারে এমনিতে থাকেন না ঢালিউডের অনেক তারকা। তবে কেউ কেউ বর্তমান সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কথা ভেবে প্রচারণায় সরব রয়েছেন। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শাকিব খান, সিয়াম, বুবলী, পূজাদের সিনেমা ঘিরে ঢালিউড তারকারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণায় সরব ছিলেন। করোনার এ সময়ে প্রচারের কারণে এক দশক ধরে প্রেক্ষাগৃহবিমুখ দর্শকেরাও ‘গলু’ই ও ‘শান’–এর মতো ছবি দেখতে ভিড় করেছেন। তখনো মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে চলচ্চিত্রের কিছু মানুষ নানান ধরনের নেতিবাচক কথা ছড়াতে থাকেন। আর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ফেসবুকভিত্তিক কিছু পেজ ও গ্রুপ এ যাত্রায় শামিল হয়। এসব মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে জানাবেন জ্যেষ্ঠ পরিচালক মতিন রহমান।

মতিন রহমান বললেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে সবার অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে। একার ছবি দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি টেকানো সম্ভব না। দশটা ছবির মধ্যে যদি চারটা ছবি দর্শকেরা দেখে ভালো বলে, তাহলে সেই দর্শক তো আগামীতে আরও ছয়টা ছবি দেখার জন্য তৈরি হবে। তাদেরকে তো কেউ তার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারেন না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সংস্কৃতি কখনো বিদ্বেষ ছড়ায় না। যে সত্যিকার অর্থে সংস্কৃতিমান, তার মনটাও তো সংস্কৃতিমান হতে হবে।’

‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার একটি দৃশ্য

‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার একটি দৃশ্য

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ আবার এ–ও বলছেন, মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের হাতে গোনা কয়েকজনও কারণ ছাড়াই নেতিবাচক কথা বলেন। না জেনে, না বুঝেই যেকোনো বিষয়ে কথা বলছেন। মূলত ফেসবুক ও ইউটিউবের কাটতি বাড়াতে এমনটা করে থাকেন বলেও জানালেন। এ বিষয়ে মতিন রহমান বললেন, ‘হীনম্মন্যতা থেকেই এমনটা করে থাকেন তাঁরা। একজন সিনেমার মানুষ হয়েই যদি আরেকটা সিনেমাকে খারাপ বলি, তা–ও আবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, এটা খুব অন্যায়। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা সত্যটা না বললেও কিন্তু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে। তাই চলচ্চিত্রের মানুষ কোনো কথা যখন বলবে, অবশ্যই ভেবেচিন্তে বলা উচিত। যিনি নির্মাণ করেছেন, তাঁর প্রতিও সম্মান রেখে কথা বলা উচিত। মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত। পরিচালক–প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ভালো ছবি হলেই এমনিতে কথা বলবে। অন্যকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা না বলে, নিজের ছবি দেখতে আসার আহ্বান জানান। ছবির যদি সমালোচনা করতেই হয়, সঠিক ভাষায় গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করতে শিখুন। কোনোরকম ভাববাচ্যে কথা বলার কোনো সুযোগ নাই। বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচকেরা কিন্তু বলেছেন, জেনে, শুনে, বুঝে তারপর সিনেমা নিয়ে লিখতে হবে।’

এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোকে কেন্দ্র করে যে কাদা–ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, তা পরিচালক সাফি উদ্দিনের কথায়ও স্পষ্ট। এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ঈদের সিনেমাগুলো ভালো যাচ্ছে, এটা খুশির খবর। অথচ কেউ কেউ বদনাম করছে। সিনেমার শত্রু আসলে সিনেমার মানুষই। আরে ভাই সিনেমা দিয়েই আপনার পরিচয়, আসুন পজিটিভ হই।’

‘সাইকো’র দেখা যাবে পূজা ও রোশানকে

‘সাইকো’র দেখা যাবে পূজা ও রোশানকে
ছবি: সংগৃহীত

‘জাগো’ সিনেমা বানিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন খিজির হায়াত খান। তিনি বলেছেন, ‘মারামারি আর কামকামড়ি না করে যে যার মতো ফিল্মে মনোনিবেশ করি। আমরটা খুব ভালো আর অন্য সব খারাপ—এই মানসিকতা দিন শেষে সবার ক্ষতি করবে, আর কিছুই না। সবাই এক হলেই ইন্ডাষ্ট্রি বাঁচবে, নইলে অনেক কিছুর মতো বাকি যকটুকু আছে সব যাবে।’

‘দি ফাদার’, ‘দাঙ্গা’, ‘ইতিহাস’, ‘কষ্ট’, ‘আম্মাজান’, ‘বীর’সহ ৫০টি চলচ্চিত্র বানিয়েছেন কাজী হায়াৎ। এই পরিচালক বললেন, ‘চলচ্চিত্রে যারা কাজ করছি, আমাদের অনেকের মধ্যে শালীনতাবোধটুকু নেই। কী বলব, কোথায় বলব, কীভাবে বলব, এটা বুঝতে হবে। এ–ও দেখছি, চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত অনেকেও কারও পক্ষ নিয়ে নিচ্ছে। এমনকি কিছু টেলিভিশন চ্যানেলও একেজনের পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে নিছে। এগুলো আসলে চলচ্চিত্রের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না। একটিকে সাপোর্ট করতে গিয়ে যেন অন্য ছবিকে অবজ্ঞা বা অন্য ছবির শিল্পী অসম্মান করতে না পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাদা-ছোড়াছুড়ি নয়, চলচ্চিত্রে মনোযোগ দিন

আপডেট সময় : ১০:০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২

একে অপরকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য ও তাঁদের ফেসবুক সমর্থকদের নানান ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড সর্বশেষ রূপ নিয়েছে কান্নায়। প্রেক্ষাগৃহে সাংবাদিকদের সামনে গত মঙ্গলবার ‘দিন দ্য ডে’ ছবির নায়িকা বর্ষা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন, তবে এর আগে তিনিও অন্য ছবির পরিচালক–অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেখানে দীর্ঘদিন পর আগ্রহ নিয়ে দর্শকেরা প্রেক্ষাগৃহমুখী হচ্ছিলেন, তখন এ ধরনের কাদা–ছোড়াছুড়িতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, কাদা–ছোড়াছুড়ি নয়, সবার মনোযোগ থাকুক শুধুই চলচ্চিত্রে। নিজেদের মেধা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ নির্মাণ দিয়েই টিকে থাকার চেষ্টা করুক তারা।

‘পরাণ’–এর একটি দৃশ্যে মিম ও ইয়াশ রোহান

‘পরাণ’–এর একটি দৃশ্যে মিম ও ইয়াশ রোহান

দেশের চলচ্চিত্রের প্রচারে এমনিতে থাকেন না ঢালিউডের অনেক তারকা। তবে কেউ কেউ বর্তমান সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কথা ভেবে প্রচারণায় সরব রয়েছেন। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শাকিব খান, সিয়াম, বুবলী, পূজাদের সিনেমা ঘিরে ঢালিউড তারকারা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণায় সরব ছিলেন। করোনার এ সময়ে প্রচারের কারণে এক দশক ধরে প্রেক্ষাগৃহবিমুখ দর্শকেরাও ‘গলু’ই ও ‘শান’–এর মতো ছবি দেখতে ভিড় করেছেন। তখনো মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে চলচ্চিত্রের কিছু মানুষ নানান ধরনের নেতিবাচক কথা ছড়াতে থাকেন। আর চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ফেসবুকভিত্তিক কিছু পেজ ও গ্রুপ এ যাত্রায় শামিল হয়। এসব মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে জানাবেন জ্যেষ্ঠ পরিচালক মতিন রহমান।

মতিন রহমান বললেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পৃক্ত সবাইকে সবার অ্যাপ্রিশিয়েট করতে হবে। একার ছবি দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি টেকানো সম্ভব না। দশটা ছবির মধ্যে যদি চারটা ছবি দর্শকেরা দেখে ভালো বলে, তাহলে সেই দর্শক তো আগামীতে আরও ছয়টা ছবি দেখার জন্য তৈরি হবে। তাদেরকে তো কেউ তার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারেন না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সংস্কৃতি কখনো বিদ্বেষ ছড়ায় না। যে সত্যিকার অর্থে সংস্কৃতিমান, তার মনটাও তো সংস্কৃতিমান হতে হবে।’

‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার একটি দৃশ্য

‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার একটি দৃশ্য

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ আবার এ–ও বলছেন, মূলধারার বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের হাতে গোনা কয়েকজনও কারণ ছাড়াই নেতিবাচক কথা বলেন। না জেনে, না বুঝেই যেকোনো বিষয়ে কথা বলছেন। মূলত ফেসবুক ও ইউটিউবের কাটতি বাড়াতে এমনটা করে থাকেন বলেও জানালেন। এ বিষয়ে মতিন রহমান বললেন, ‘হীনম্মন্যতা থেকেই এমনটা করে থাকেন তাঁরা। একজন সিনেমার মানুষ হয়েই যদি আরেকটা সিনেমাকে খারাপ বলি, তা–ও আবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, এটা খুব অন্যায়। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা সত্যটা না বললেও কিন্তু সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে। তাই চলচ্চিত্রের মানুষ কোনো কথা যখন বলবে, অবশ্যই ভেবেচিন্তে বলা উচিত। যিনি নির্মাণ করেছেন, তাঁর প্রতিও সম্মান রেখে কথা বলা উচিত। মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরও ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত। পরিচালক–প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে, ভালো ছবি হলেই এমনিতে কথা বলবে। অন্যকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা না বলে, নিজের ছবি দেখতে আসার আহ্বান জানান। ছবির যদি সমালোচনা করতেই হয়, সঠিক ভাষায় গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করতে শিখুন। কোনোরকম ভাববাচ্যে কথা বলার কোনো সুযোগ নাই। বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচকেরা কিন্তু বলেছেন, জেনে, শুনে, বুঝে তারপর সিনেমা নিয়ে লিখতে হবে।’

এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোকে কেন্দ্র করে যে কাদা–ছোড়াছুড়ি হচ্ছে, তা পরিচালক সাফি উদ্দিনের কথায়ও স্পষ্ট। এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ঈদের সিনেমাগুলো ভালো যাচ্ছে, এটা খুশির খবর। অথচ কেউ কেউ বদনাম করছে। সিনেমার শত্রু আসলে সিনেমার মানুষই। আরে ভাই সিনেমা দিয়েই আপনার পরিচয়, আসুন পজিটিভ হই।’

‘সাইকো’র দেখা যাবে পূজা ও রোশানকে

‘সাইকো’র দেখা যাবে পূজা ও রোশানকে
ছবি: সংগৃহীত

‘জাগো’ সিনেমা বানিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন খিজির হায়াত খান। তিনি বলেছেন, ‘মারামারি আর কামকামড়ি না করে যে যার মতো ফিল্মে মনোনিবেশ করি। আমরটা খুব ভালো আর অন্য সব খারাপ—এই মানসিকতা দিন শেষে সবার ক্ষতি করবে, আর কিছুই না। সবাই এক হলেই ইন্ডাষ্ট্রি বাঁচবে, নইলে অনেক কিছুর মতো বাকি যকটুকু আছে সব যাবে।’

‘দি ফাদার’, ‘দাঙ্গা’, ‘ইতিহাস’, ‘কষ্ট’, ‘আম্মাজান’, ‘বীর’সহ ৫০টি চলচ্চিত্র বানিয়েছেন কাজী হায়াৎ। এই পরিচালক বললেন, ‘চলচ্চিত্রে যারা কাজ করছি, আমাদের অনেকের মধ্যে শালীনতাবোধটুকু নেই। কী বলব, কোথায় বলব, কীভাবে বলব, এটা বুঝতে হবে। এ–ও দেখছি, চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত অনেকেও কারও পক্ষ নিয়ে নিচ্ছে। এমনকি কিছু টেলিভিশন চ্যানেলও একেজনের পক্ষে দায়িত্ব নিয়ে নিছে। এগুলো আসলে চলচ্চিত্রের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না। একটিকে সাপোর্ট করতে গিয়ে যেন অন্য ছবিকে অবজ্ঞা বা অন্য ছবির শিল্পী অসম্মান করতে না পারে।’