ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন আমি স্যামসাং ব্যবহার করি, স্ক্রিনশট গেছে আইফোনের : জনপ্রশাসন সচিব উন্নয়নের ভ্রান্ত ধারণা: ঋণে ডুবে থাকা দেশ টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম আমার টাকা-পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে এক দিনেই হাওয়া ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার মূলধন অবশেষে দেখা মিলল আসাদুজ্জামান কামালের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ কারাগারে কেমন আছেন ‘ভিআইপি’ বন্দীরা একটি ফোনকল যেভাবে বদলে দিয়েছে ড. ইউনূসের জীবনের গতিপথ ড. ইউনুসের Three Zeros থিয়োরি বর্তমান উপদেষ্টাদের সঙ্গে নতুন চার-পাঁচজন মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকটি জাতীয় দিবস বাতিল করতে পারে সরকার সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণ গায়েব: উপদেষ্টা “প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস: বাংলার গর্ব, বৈশ্বিক সম্প্রীতির প্রতীক” খেলোয়াড় সাকিবের নিরাপত্তা আছে, ফ্যাসিস্ট সাকিবের ক্ষেত্রে অবান্তর: ক্রীড়া উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সম্মেলন থেকে কী অর্জন করলেন? জাতিসংঘে তিন-শুন্যের ধারণা দিলেন ড. ইউনুস যন্ত্রণার নাম ব্যাটারি রিকশা তরুণ সমাজের অফুরান শক্তি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে— ড. ইউনূস

পাঁচ বছর বয়স হবার আগেই শিশুকে যে বিষয়গুলো শেখাবেন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ ২৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সটা বাচ্চাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়স। বাচ্চাদের চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময় এটি। পাঁচ বছর হওয়ার আগেই কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলুন আপনার সন্তানকে। অনেক বাবা মা মনে করেন এটি খুব অল্প বয়স বাচ্চাদেরকে নৈতিকতা শিখানোর। তবে এটি ভুল ধারণা। ছোট বয়সে বাচ্চাদের যা শিখানো হবে বাচ্চারা সেটি সারাজীবন মনে রাখে। কিছু বিষয় আছে যা পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে প্রতিটি বাচ্চার শেখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো সম্পর্কে-

> সততা আপনার বাচ্চাটির বয়স পাঁচ বছরে পৌঁছানোর আগে সততার বিষয়টির সম্পর্কে জানান। সে যেন সবসময় সত্য কথা বলে। ছোটখাটো মি’থ্যাকেও প্রশ্রয় দিবেন না। এটি তার মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়িয়ে দিবে। মিথ্যা বলা, ঠকানো বা চুরি করা কোন বিষয়কে অবহেলা করবেন না। সত্য কথা বলা শিখান। যদি সে মিথ্যা বলে সেটি নিয়ে খুব বেশি রাগারাগি করবেন না। বরং কিভাবে সে সত্য কথা বলবে সেটি তাকে শিখান।

> দায়িত্ববোধ শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। ছোট বয়সে যদি বাচ্চারা দায়িত্ব নেয়া শিখে যায় তবে তারা একজন দায়িত্ববান মানুষ হয়ে গড়ে উঠে। খুব বেশি কাজের দায়িত্ব তাদের উপর চাপাবেন না। ছোট ছোট কাজ যেমন নিজের খেলনাটা ঠিকমতো দেখে রাখা, ঠিক জায়গায় গুছিয়ে রাখা, ময়লা কাপড়টি লন্ড্রি বাস্কেটে রাখা, অথবা ছোট ভাই বা বোনটির যত্ন নেয়া। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে থাকে।

> সংকল্প সংকল্প ছাড়া কোন বাচ্চা তার কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এটি শুধু বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সংকল্প ছাড়া কেউ কোনদিন জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। তাই এই বিষয়টির সঙ্গে ছোট থেকে বাচ্চাদের পরিচয় করে দিন।

> সমবেদনা যখন অন্য কোন বাচ্চা পিছলে পড়ে যাবে, তখন আপনার বাচ্চাটি যেন না হেসে পড়ে যাওয়া বাচ্চাটিকে উঠতে সাহায্য করে। অন্যের কষ্টে সে যেন খুশি না হয়। এটি তাকে হিংসা থেকে দূরে রাখবে। অন্যের কষ্টে খুশি হওয়ার কিছু নেই, এই ঘটনাটি তার সঙ্গেও হতে পারত- এই বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন।

> সম্মান এটি খুব জরুরি একটি বিষয়। বড়দের সম্মান করার পাশাপাশি ঘরের গৃহকর্মীকেও সম্মান করা শিখান। অনেক সময় বড়দের দেখাদেখি বাচ্চারা ঘরের গৃহকর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। তাই গৃহকর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার আগে একবার ভাবুন আপনার বাচ্চাটিও কিন্তু এটি শিক্ষা পাচ্ছে। এক থেকে পাঁচ বছর বয়সটি অনেক নাজুক একটি সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের যা শেখাবেন তারা তাই শিখবে। তা ভালো হোক বা খারাপ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাঁচ বছর বয়স হবার আগেই শিশুকে যে বিষয়গুলো শেখাবেন

আপডেট সময় : ০১:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সটা বাচ্চাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়স। বাচ্চাদের চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময় এটি। পাঁচ বছর হওয়ার আগেই কিছু বিষয়ে অভ্যস্ত করে তোলুন আপনার সন্তানকে। অনেক বাবা মা মনে করেন এটি খুব অল্প বয়স বাচ্চাদেরকে নৈতিকতা শিখানোর। তবে এটি ভুল ধারণা। ছোট বয়সে বাচ্চাদের যা শিখানো হবে বাচ্চারা সেটি সারাজীবন মনে রাখে। কিছু বিষয় আছে যা পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে প্রতিটি বাচ্চার শেখা উচিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিষয়গুলো সম্পর্কে-

> সততা আপনার বাচ্চাটির বয়স পাঁচ বছরে পৌঁছানোর আগে সততার বিষয়টির সম্পর্কে জানান। সে যেন সবসময় সত্য কথা বলে। ছোটখাটো মি’থ্যাকেও প্রশ্রয় দিবেন না। এটি তার মিথ্যা বলার প্রবণতা বাড়িয়ে দিবে। মিথ্যা বলা, ঠকানো বা চুরি করা কোন বিষয়কে অবহেলা করবেন না। সত্য কথা বলা শিখান। যদি সে মিথ্যা বলে সেটি নিয়ে খুব বেশি রাগারাগি করবেন না। বরং কিভাবে সে সত্য কথা বলবে সেটি তাকে শিখান।

> দায়িত্ববোধ শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটি সত্য। ছোট বয়সে যদি বাচ্চারা দায়িত্ব নেয়া শিখে যায় তবে তারা একজন দায়িত্ববান মানুষ হয়ে গড়ে উঠে। খুব বেশি কাজের দায়িত্ব তাদের উপর চাপাবেন না। ছোট ছোট কাজ যেমন নিজের খেলনাটা ঠিকমতো দেখে রাখা, ঠিক জায়গায় গুছিয়ে রাখা, ময়লা কাপড়টি লন্ড্রি বাস্কেটে রাখা, অথবা ছোট ভাই বা বোনটির যত্ন নেয়া। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো তার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি করে থাকে।

> সংকল্প সংকল্প ছাড়া কোন বাচ্চা তার কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। এটি শুধু বাচ্চার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। সংকল্প ছাড়া কেউ কোনদিন জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে নি। তাই এই বিষয়টির সঙ্গে ছোট থেকে বাচ্চাদের পরিচয় করে দিন।

> সমবেদনা যখন অন্য কোন বাচ্চা পিছলে পড়ে যাবে, তখন আপনার বাচ্চাটি যেন না হেসে পড়ে যাওয়া বাচ্চাটিকে উঠতে সাহায্য করে। অন্যের কষ্টে সে যেন খুশি না হয়। এটি তাকে হিংসা থেকে দূরে রাখবে। অন্যের কষ্টে খুশি হওয়ার কিছু নেই, এই ঘটনাটি তার সঙ্গেও হতে পারত- এই বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলুন।

> সম্মান এটি খুব জরুরি একটি বিষয়। বড়দের সম্মান করার পাশাপাশি ঘরের গৃহকর্মীকেও সম্মান করা শিখান। অনেক সময় বড়দের দেখাদেখি বাচ্চারা ঘরের গৃহকর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন। তাই গৃহকর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার আগে একবার ভাবুন আপনার বাচ্চাটিও কিন্তু এটি শিক্ষা পাচ্ছে। এক থেকে পাঁচ বছর বয়সটি অনেক নাজুক একটি সময়। এই সময়ে বাচ্চাদের যা শেখাবেন তারা তাই শিখবে। তা ভালো হোক বা খারাপ।