ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বেগম জিয়াকে হিংসা করতেন হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন শেখ হাসিনা? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাত্রদের ঘোষণাপত্র দিতে বারণের কারণ জানালেন ড. ইউনূস  ঐক্যবদ্ধভাবে দিতে না পারলে জুলাই ঘোষণাপত্রের দরকারই নাই রেস্তোরাঁ, ওষুধ ও মোবাইল রিচার্জে বাড়ছে না ভ্যাট ধর্মনিরপেক্ষতাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার ৩ মূলনীতি বাদ পদত্যাগপত্রে যা বললেন টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক আমার মেয়ের খুনি কে, আমি কি বিচার পাব না: প্রশ্ন তিন্নির বাবার জয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ৩ বছর আগে, জানালেন নিজেই গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন ৫ আগস্ট: বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধানের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল ক্রসফায়ারে নিহতদের ৪ জন ছিলেন ডিবি হেফাজতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রক ছিলেন শেখ রেহানা শনিবার স্কুল খোলা নাকি বন্ধ? ‘জমজমের’ নামে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় ৩০ কোটি টাকা! শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ঘোষণা আসছে? টিউলিপকে দেশে ফেরত চান ড. ইউনূস? যুক্তরাজ্যে টিউলিপের পর আলোচনায় সালমানপুত্র হাসিনা যেভাবে সৌদিকে দমিয়ে রাখতো

‘বোবায় ধরা’ থেকে বাচার উপায়

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
  • / 79
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘বোবায় ধরা’ | ‘ঘুমের পক্ষাঘাত’ | Sleep Paralysis

এটি স্বপ্নে জ্বিনের আক্রমন, যাকে আমরা বোবায় ধরা বলে থাকি। যা আমাদেরকে ঘুমের মধ্যে আক্রমণ করে।

হাদীসে এসেছে: শয়তান স্বপ্নের মধ্যে ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। [সুনান আত তিরমিজী, হা/২২৯১]

কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ বলেন: ইবলিশ শয়তান জ্বিন সম্প্রদায়ভূক্ত [আল-কুরআন, সূরা কাহাফ (১৮), আয়াত-৫০]

 আক্রমণের লক্ষণসমূহ:

যখন আমরা ঘুমে থাকি জ্বিন তখন বুকের উপর ভারী চাপ সৃষ্টি করে আমাদের শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তখন কথা বলা বা নড়াচড়া করা যায় না। চিৎকার-চেচামেচি করেও কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয় না। নিজেকে কন্ট্রোল করতে গিয়ে তাদের কাছে বাধাগ্রস্ত হতে হয়। টায়ার্ড হয়ে, শরীর ঘেমে আসে।

জ্বিন চলে গেলে, আতংকিত হয়ে আমরা জেগে উঠি, তখনও অস্বস্তি উপলব্দি করা যায়। পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা এটাকে “ঘুমের পক্ষাঘাত” বলে অভিহিত করেন। কিন্তু ইসলাম আমাদেরকে জানাচ্ছে যে, জ্বিন আমাদের ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে আক্রমন করে।

আমরা কিভাবে জ্বিনের এই আক্রমন থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করবো? ঘুমানোর পূর্বে মূহুর্তে করণীয়:

 রুমের সদর বা প্রধান দরজা ‘বিসমিল্লাহ’ বলে বন্ধ করা।
 সূরা মূলক তেলাওয়াত করা।
 অজু করে ঘুমাবো।
 শোবার পূর্বে বিছানা ভালো করে ঝেড়ে নেয়া।
• সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ।
 আয়াতুল কুরসী পাঠ। {সূরা বাকারাহ এর ২৫৫নং আয়াত}
 শরীর বন্ধ করা। [তিন কুল (সূরা এখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস) পাঠ করে হাতের তালুতে ফুক দিয়ে শরীরের সামনের অংশের যতটুকু সম্ভব হাত বুলাবেন] এভাবে তিনবার করতে হয়।
 সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা।
 আল্লাহর কাছে বেশী বেশী করে ইস্তেগফার করা।
 ঘুমানোর পূর্বের দু‘আ পাঠ ও ডান কাতে ঘুমানো।

 বোবায় ধরলে বা দুঃস্বপ্ন দেখলে করণীয়:
 ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরলে, খারাপ বা দুঃস্বপ্ন দেখলে ‘আউযুবিল্লাহিমিনাশ শাইত্বানির রাযীম’ পাঠ করে বাম দিকে তিনবার ড্রাই বা শুকনা থুতু নিক্ষেপ করবেন এবং পাশ চেইঞ্জ করে ঘুমাবেন।

উপরের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার পরেও বোবায় ধরা, খারাপ বা দুঃস্বপ্ন দেখা চলতে থাকে, তবে এক্ষেত্রে আধ্যত্নিক, মানসিক বা অন্য কোনো সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে খারাপ জ্বিনের আক্রমন থেকে হেফাজত করুন। আমীন!

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘বোবায় ধরা’ থেকে বাচার উপায়

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

‘বোবায় ধরা’ | ‘ঘুমের পক্ষাঘাত’ | Sleep Paralysis

এটি স্বপ্নে জ্বিনের আক্রমন, যাকে আমরা বোবায় ধরা বলে থাকি। যা আমাদেরকে ঘুমের মধ্যে আক্রমণ করে।

হাদীসে এসেছে: শয়তান স্বপ্নের মধ্যে ভীতি প্রদর্শন করে থাকে। [সুনান আত তিরমিজী, হা/২২৯১]

কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ বলেন: ইবলিশ শয়তান জ্বিন সম্প্রদায়ভূক্ত [আল-কুরআন, সূরা কাহাফ (১৮), আয়াত-৫০]

 আক্রমণের লক্ষণসমূহ:

যখন আমরা ঘুমে থাকি জ্বিন তখন বুকের উপর ভারী চাপ সৃষ্টি করে আমাদের শ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তখন কথা বলা বা নড়াচড়া করা যায় না। চিৎকার-চেচামেচি করেও কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয় না। নিজেকে কন্ট্রোল করতে গিয়ে তাদের কাছে বাধাগ্রস্ত হতে হয়। টায়ার্ড হয়ে, শরীর ঘেমে আসে।

জ্বিন চলে গেলে, আতংকিত হয়ে আমরা জেগে উঠি, তখনও অস্বস্তি উপলব্দি করা যায়। পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা এটাকে “ঘুমের পক্ষাঘাত” বলে অভিহিত করেন। কিন্তু ইসলাম আমাদেরকে জানাচ্ছে যে, জ্বিন আমাদের ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে আক্রমন করে।

আমরা কিভাবে জ্বিনের এই আক্রমন থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করবো? ঘুমানোর পূর্বে মূহুর্তে করণীয়:

 রুমের সদর বা প্রধান দরজা ‘বিসমিল্লাহ’ বলে বন্ধ করা।
 সূরা মূলক তেলাওয়াত করা।
 অজু করে ঘুমাবো।
 শোবার পূর্বে বিছানা ভালো করে ঝেড়ে নেয়া।
• সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পাঠ।
 আয়াতুল কুরসী পাঠ। {সূরা বাকারাহ এর ২৫৫নং আয়াত}
 শরীর বন্ধ করা। [তিন কুল (সূরা এখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস) পাঠ করে হাতের তালুতে ফুক দিয়ে শরীরের সামনের অংশের যতটুকু সম্ভব হাত বুলাবেন] এভাবে তিনবার করতে হয়।
 সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা।
 আল্লাহর কাছে বেশী বেশী করে ইস্তেগফার করা।
 ঘুমানোর পূর্বের দু‘আ পাঠ ও ডান কাতে ঘুমানো।

 বোবায় ধরলে বা দুঃস্বপ্ন দেখলে করণীয়:
 ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরলে, খারাপ বা দুঃস্বপ্ন দেখলে ‘আউযুবিল্লাহিমিনাশ শাইত্বানির রাযীম’ পাঠ করে বাম দিকে তিনবার ড্রাই বা শুকনা থুতু নিক্ষেপ করবেন এবং পাশ চেইঞ্জ করে ঘুমাবেন।

উপরের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার পরেও বোবায় ধরা, খারাপ বা দুঃস্বপ্ন দেখা চলতে থাকে, তবে এক্ষেত্রে আধ্যত্নিক, মানসিক বা অন্য কোনো সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে খারাপ জ্বিনের আক্রমন থেকে হেফাজত করুন। আমীন!