ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ জুন ২০২২
  1. আন্তর্জাতিক
  2. ইতিহাস ঐতিয্য
  3. ইসলাম
  4. কর্পোরেট
  5. খেলার মাঠে
  6. জাতীয়
  7. জীবনযাপন
  8. তথ্যপ্রযুক্তি
  9. দেশজুড়ে
  10. নারী কন্ঠ
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. ফার্মাসিস্ট কর্নার
  13. ফিচার
  14. ফ্যাশন
  15. বিনোদন

সামান্য প্রয়োজনে পেইন কিলারে যত বিপদ আসতে পারে

ডেস্ক নিউজ
জুন ১৪, ২০২২ ১:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ব্যথা নিরাময়ের জন্য এলোমেলোভাবে ওষুধ খাওয়া যাবে না। খেয়ালখুশি মতো ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। ব্যথার ওষুধে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। 

অনেকেরই অভ্যাস আছে একটু মাথাব্যথা, জ্বর, গায়ে হাতে ব্যথা হলেই পেইন কিলার খেয়ে নেন। এতে সাময়িক স্বস্তি আসতে পারে, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে ভয়ানক বিপদ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো।

অতিরিক্ত পেইন কিলার শরীরের কী কী ক্ষতি করতে পারে দেখে নেওয়া যাক-

লিভারের ক্ষতি
ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, বিশেষ করে প্যারাসিটামল লিভারের ক্ষতি করতে পারে। তাই, প্যারাসিটামল পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। প্রতিদিন ৮টি ট্যাবলেট (৫০০ মিলিগ্রাম) খেলে লিভারের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। তাই ঠান্ডা লাগা, গা হাত ব্যথা, জ্বর, যাই হোক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত।

পেটে ব্যথা এবং আলসার
ব্যথানাশক ওষুধ বা পেইন কিলার যেমন আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন এবং ন্যাপ্রোক্সেন গ্রহণের ফলে পেটে ব্যথা, জ্বালা এবং অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে। এমনকি ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের কারণে পেটে আলসারও হতে পারে। আর যাদের আগে থেকেই আলসার আছে, তাদের রক্তপাত হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

ডিপ্রেশন
পেইন কিলার ডিপ্রেশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা হ্রাস করে। তাই যারা বিষণ্ণতায় ভুগছেন এবং অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট গ্রহণ করছেন, তাদের ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে চলা উচিত।

কিডনি ফেলিওর
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আইবুপ্রোফেন এবং ন্যাপ্রোক্সেনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এর থেকে কিডনি ফেলিওর বা ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া, যারা ইতিমধ্যেই কিডনির রোগে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা অনেকটাই বেশি।

গর্ভপাত
গর্ভাবস্থার প্রথম ২০ সপ্তাহে যদি কেউ ব্যথা নাশক ওষুধ (যেমন NSAIDs) ব্যবহার করেন, তাদের গর্ভপাত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পেইন কিলার ওষুধগুলো হরমোনের কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করে। তাই গর্ভাবস্থায় যদি আপনি কোনো কারণে ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহারের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তপাত হওয়া
যাদের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা এবং হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন এবং নেপ্রোক্সেনের মতো ওষুধগুলো অনেকক্ষেত্রে উপকারী। তবে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণ করেন, তাদের যে কোনও ব্যথা নাশক ওষুধ (NSAIDs) এড়িয়ে চলা উচিত। এতে রক্ত অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং অত্যাধিক রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। যারা এই ওষুধ ব্যবহার করেন, তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

সূত্র : বোল্ডস্কাই 

বি.দ্র: এই লেখাটি কেবলমাত্র পেইন কিলারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানোর জন্য। চিকিৎসকের পরামর্শে যারা পেইন কিলার খাচ্ছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই চলবেন।  

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো । বিডিসারাদিন২৪'এ প্রকাশিত নারীকন্ঠ,মতামত লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত বিডিসারাদিন২৪ 'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় বিডিসারাদিন২৪ কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। বিডিসারাদিন২৪ 'তে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।