ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন প্রত্যাশিত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ২০ রানের মধ্যে তুলে নিয়েছিল লঙ্কানদের দুই উইকেট। বৃষ্টির পরে ওই মোমেন্টাম হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ৫১ ওভার খেলা হওয়ার দিন তিন উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে রানটা বাড়িয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ৮৩ রানে পিছিয়ে আছে। চতুর্থ দিন শুরু করবেন ৫৮ রানে অপরাজিত থাকা অভিজ্ঞ লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। তার সঙ্গে নামবেন আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল (১০)।
দ্বিতীয় দিন শেষে লিটন দাস বলেছিলেন, ওরা বাংলাদেশের কাছাকাছি রান করে ফেললে বা লিড নিলে বিপদ বাড়বে। ওই বিপদের সংকেত দিয়েই তৃতীয় দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে বৃষ্টি ও আলো স্বল্পতায় ভেসে যাওয়া ৪০ ওভার ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দিতে পারে।
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় দিন ২ উইকেটে ১৪৩ রান তুলেছিল। তৃতীয় দিন সকালেই ফিরে যান নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা। লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে যোগ করতে পারেন ১০ রান। তিনি ৮০ রানে বোল্ড হন। শ্রীলঙ্কাকে বাঁচাতে মাঠে নামেন অ্যাঞ্জেল ম্যথুস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বৃষ্টিও বাড়িয়ে দেয় হাত।
বৃষ্টির কারণে দুপুরের রোদে উইকেট ভাঙেনি। বরং সামান্য আদ্রতা দেয়। ওই সুবিধা নিয়ে বৃষ্টির পর জুটি গড়ে ধনাঞ্জয়া ও ম্যাথুস ১০২ রান যোগ করেন। দিনের সেরা সাফল্য শেষ বেলায় ওই জুটি ভাঙা। ধনাঞ্জয়াকে ৫৮ রানে সাজঘরে ফেরানো।
এর আগে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের রেকর্ড জুটিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস করে ৩৬৫ রান তোলে। মুশফিকুর রহিম দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। লিটন কুমার খেলেন ১৪১ রানে ইনিংস। আর কেউ বিশ রানের ঘরে ঢুকতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার পেসার রাজিথা পাঁচটি ও অসিথা ফার্নান্দো চার উইকেট তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে লঙ্কান শিবিরে তিন ধাক্কা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। অন্য দুই উইকেট নিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। প্রত্যাশা মিটিয়ে বোলিং করতে পারেননি খালেদ। ১৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে চারের ওপরে রান দিয়েছেন তিনি।