ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা আজ ডিসির দায়িত্বে শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন হাসিনাকে যেভাবে ভারত থেকে ফেরত আনা সম্ভব জ্বালানির অভাব, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলে তাৎক্ষণিক বিকল্প নেই বিপিডিবির ভারতের সঙ্গে চলমান কোনো প্রকল্প স্থগিত হয়নি:অর্থ উপদেষ্টা এত বিদ্যুৎকেন্দ্র, তবু কেন লোডশেডিং পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে কী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ টাকা পাচারের স্বর্গ বাংলাদেশ রাজাকার খুঁজে বার করার ভার পেলেন তাঁদেরই আইনজীবী পুলিশ সংস্কারে শিগগিরই প্রাথমিক কমিটি গঠন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে মেট্রোরেলের ছিদ্দিকের চুক্তি বাতিল, চলতি দায়িত্বে রউফ বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় ১৭ স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের নিয়োগ বাতিল রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনে জোর প্রধান উপদেষ্টার সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড! গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯২০০ শাহজালাল বিমানবন্দরে পরিবর্তনের হাওয়া ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি: অর্থ উপদেষ্টা নিম্ন আদালতের ১৬৮ বিচারককে একযোগে বদলি

যে কারনে চিকিৎসকেরা সাদা পোশাক পরেন

বিডি সারাদিন২৪ নিউজ
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫০২১ বার পড়া হয়েছে
আজকের সারাদিনের সর্বশেষ নিউজ পেতে ক্লিক করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাধারণ দৃষ্টিতে চিকিৎসক মানেই তো পরনে সাদা অ্যাপ্রন আর গলায় স্থেটোস্কোপ ঝোলানো একজন মানুষ। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন তিনি সাদা অ্যাপ্রন পরেন? মনে মনে এই প্রশ্ন জাগ্রত হলেও হয়তো উত্তর অজানাই রয়ে গেছে। আজ বিশ্ব চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে জেনে নিন সাদা অ্যাপ্রন পরার কারণ।

উনিশ শতকের প্রথমার্ধে টিভি নাটকে চিকিৎসকদের পরনে কালো পোশাক দেখা যেত। কেননা কালো পোশাককে কেতাদুরস্ত মনে করা হয়। তা ছাড়া গাঢ় রঙের পোশাকে রক্তের দাগ বোঝা যায় কম। পরে অবশ্য সাদা পোশাকে আসতে বেশি সময় লাগেনি।

তবে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি মানুষকে বোঝাতে গিয়েও চিকিৎসকদের পোশাক থেকে শুরু করে হাসপাতালের বিছানা চাদর, পর্দাসহ সব জায়গায় সাদা রঙের আধিক্য দেখা যেতে থাকে।

মার্কিন চিকিৎসক ড. মার্ক এস হচবার্গ ২০০৭ সালে ‘আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল অব এথিকস’ নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে লিখেছেন, ‘সাদা রঙের আরেকটি কারণ আছে। আর তা হলো, সত্য ও স্বচ্ছতা।’

এছাড়া কিছু বিষয়কেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন- হাসপাতালের ভিড়ে চিকিৎসকদের যেন আলাদা করা যায়। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ভিড়ে চারদিকে চোখ বোলালেই চিকিৎসকরা যেন নজরে চলে আসে, তার জন্যই এ ব্যবস্থা।

এমনকি এ ধরনের অ্যাপ্রনে একাধিক পকেট থাকে। চিকিৎসকদের তাতে একসঙ্গে একাধিক জিনিস বহন করে ঘুরতে সুবিধা হয়।

যে পোশাকে বাইরে থেকে চিকিৎসকরা হাসপাতাল বা চেম্বারে আসেন, তাতে নানা রকম জীবাণু থাকার সম্ভাবনা আছে। ফলে রোগীদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এ কারণেও সাদা অ্যাপ্রন পরেন চিকিৎসকরা।

সব মিলিয়ে বলতে গেলে সাদা রং মানুষের মনকে প্রশান্ত করে। রোগীরা এ রং দেখলে ভরসা পায়। তবে বর্তমানে অস্ত্রোপচারের সময় অবশ্য নীল বা সবুজ পোশাক পরেন চিকিৎসকেরা। এর শুরু কিন্তু বিংশ শতকের গোড়ার দিকে।

১৯১৪ সালে এক চিকিৎসক দেখলেন, রক্তের গাঢ় লাল থেকে হঠাৎ করে সাদা রঙে তাকালে ক্ষণিকের জন্য চিকিৎসকদের চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। আবার ভ্রমও তৈরি হতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে অপারেশন থিয়েটারে সবুজ এবং পরে নীল রঙের কাপড়ের ব্যবহার শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যে কারনে চিকিৎসকেরা সাদা পোশাক পরেন

আপডেট সময় : ০৭:২৮:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

সাধারণ দৃষ্টিতে চিকিৎসক মানেই তো পরনে সাদা অ্যাপ্রন আর গলায় স্থেটোস্কোপ ঝোলানো একজন মানুষ। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন তিনি সাদা অ্যাপ্রন পরেন? মনে মনে এই প্রশ্ন জাগ্রত হলেও হয়তো উত্তর অজানাই রয়ে গেছে। আজ বিশ্ব চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে জেনে নিন সাদা অ্যাপ্রন পরার কারণ।

উনিশ শতকের প্রথমার্ধে টিভি নাটকে চিকিৎসকদের পরনে কালো পোশাক দেখা যেত। কেননা কালো পোশাককে কেতাদুরস্ত মনে করা হয়। তা ছাড়া গাঢ় রঙের পোশাকে রক্তের দাগ বোঝা যায় কম। পরে অবশ্য সাদা পোশাকে আসতে বেশি সময় লাগেনি।

তবে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি মানুষকে বোঝাতে গিয়েও চিকিৎসকদের পোশাক থেকে শুরু করে হাসপাতালের বিছানা চাদর, পর্দাসহ সব জায়গায় সাদা রঙের আধিক্য দেখা যেতে থাকে।

মার্কিন চিকিৎসক ড. মার্ক এস হচবার্গ ২০০৭ সালে ‘আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল অব এথিকস’ নামের বিজ্ঞান সাময়িকীতে লিখেছেন, ‘সাদা রঙের আরেকটি কারণ আছে। আর তা হলো, সত্য ও স্বচ্ছতা।’

এছাড়া কিছু বিষয়কেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেমন- হাসপাতালের ভিড়ে চিকিৎসকদের যেন আলাদা করা যায়। যে কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালের ভিড়ে চারদিকে চোখ বোলালেই চিকিৎসকরা যেন নজরে চলে আসে, তার জন্যই এ ব্যবস্থা।

এমনকি এ ধরনের অ্যাপ্রনে একাধিক পকেট থাকে। চিকিৎসকদের তাতে একসঙ্গে একাধিক জিনিস বহন করে ঘুরতে সুবিধা হয়।

যে পোশাকে বাইরে থেকে চিকিৎসকরা হাসপাতাল বা চেম্বারে আসেন, তাতে নানা রকম জীবাণু থাকার সম্ভাবনা আছে। ফলে রোগীদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এ কারণেও সাদা অ্যাপ্রন পরেন চিকিৎসকরা।

সব মিলিয়ে বলতে গেলে সাদা রং মানুষের মনকে প্রশান্ত করে। রোগীরা এ রং দেখলে ভরসা পায়। তবে বর্তমানে অস্ত্রোপচারের সময় অবশ্য নীল বা সবুজ পোশাক পরেন চিকিৎসকেরা। এর শুরু কিন্তু বিংশ শতকের গোড়ার দিকে।

১৯১৪ সালে এক চিকিৎসক দেখলেন, রক্তের গাঢ় লাল থেকে হঠাৎ করে সাদা রঙে তাকালে ক্ষণিকের জন্য চিকিৎসকদের চোখ ধাঁধিয়ে যেতে পারে। আবার ভ্রমও তৈরি হতে পারে। এ সমস্যা এড়াতে অপারেশন থিয়েটারে সবুজ এবং পরে নীল রঙের কাপড়ের ব্যবহার শুরু হয়।